আসসালামু আলাইকুম আজকে আমরা ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জানব। আপনারা সকলেই পাসপোর্ট সম্পর্কে জেনেছেন কিন্তু পাসপোর্ট কিভাবে করতে হয় সেটি হয়তবা অনেকের জানা নেই। বর্তমান ই-পাসপোর্ট একটি নতুন পাসপোর্ট ই পাসপোর্ট করতে ঝামেলা ও অনেক কম এটি অনলাইনে আবেদন করা যায় অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে পাসপোর্ট করা যায় এবং ই-পাসপোর্টে অনেক সুবিধা রয়েছে । অনলাইনে আবেদন সহ এর পেমেন্ট ও রয়েছে। খুবই দ্রুত সময়ে এ পাসপোর্টটি করা যায় এবং 10 বছর মেয়াদ ভিত্তিক এ পাসপোর্ট করা হয় ।সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বর্তমান যুগের ই-পাসপোর্ট কি হলো আধুনিক যুগের আধুনিক একটি পাসপোর্ট ।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২
পাসপোর্ট করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে দেখতে হবে আপনি দেশের নাগরিক কিনা। আপনি যদি দেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি পাসপোর্ট এর জন্য সকল রকম কাজ করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালের এই ঠিকানায়। সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ই-পাসপোর্ট/ রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তবে আবেদন করার আগে দেখে নিতে হবে ই-পাসপোর্ট আবেদনের ৫টি (পাঁচ) ধাপ। এই ধাপে আপনি জেনে নিতে পারবেন আপনার জেলায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে কি না। আপনার জেলায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা থাকে তাহলে আপনি কি পাসপোর্ট করতে পারবেন না। আপনাকে ই পাসপোর্ট করতে হলে অবশ্যই আপনার জেলাতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু থাকতে হবে।
এছাড়া সেখানে আরও আছে জুররি আবেদন, পাসপোর্ট ফি, নির্দেশনাবলীসহ অনেক কিছু। আপনি অ্যাপ্লাই অনলাইনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলবেন। এরপর অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ও পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য ডেট নিবেন। তারপর নির্ধারিত ডেটে অনলাইন আবেদন ফরমের কপি, পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিভ, যে বাসায় থাকেন সে বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পুরান পাসপোর্টের কপিসহ পাসপোর্ট অফিসে যাবেন। সাথে অবশ্যই অরজিনাল কাগজপত্রগুলোও সঙ্গে নেবেন। এরপর ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াবেন। পাসপোর্ট অফিসে অনেক লম্বা লাইন থাকে আপনাকে কষ্ট করে সেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
ছবি তোলা, সব আঙুলের ছাপ ও আইরিশের ছবি গ্রহণ শেষে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি রিসিভ দেবে। রিসিভ পাওয়ার পর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, কাগজপত্র ও ব্যক্তিগত তথ্য, আবেদনকারীর ছবি, আঙুলের ছাপ ও আইরিশের ছবি গ্রহণ সব ঠিক আছে কি না। আপনার তথ্য যদি কোন ভুল থাকে তাহলে আপনি আপনার পাসপোর্টটি করতে পারবেন না। এজন্য সব সময় আপনাকে ভালো করে দেখে নিতে হবে আপনার সকল তথ্য গুলো সঠিকভাবে রয়েছে কিনা। যথাযথভাবে সব কাজ শেষে তালিকাভুক্তির পর সরবরাহ করা ডেলিভারি স্লিপ সংরক্ষণ করবেন। পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে জানাবে। এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।
ই-পাসপোর্ট পেমেন্ট সিস্টেম
পাসপোর্ট ফি অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার পাসপোর্ট সিটি পেমেন্ট করতে পারবেন।এখন সবাই অনলাইনে মাধ্যমে এটি পড়বেন করছে আপনি যদি অনলাইনে পেমেন্ট করতে না চান তাহলে অনলাইন পেমেন্ট ছাড়াও ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া যাবে। সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট দেওয়া হয় এবং এখন পর্যন্ত চালু করা অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি হলো স্টারকার্ড, ভিসা, কিউ-ক্যাশ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বিকাশ ও ডিবিবিএল নেক্সাস। অনলাইনে পেমেন্ট করার জন্য আপনার ব্রাউজারের পপ-আপ ব্লকার অক্ষম করতে হবে।
ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
পাসপোর্ট করতে টাকা লাগে। ফ্রি ফ্রি কেউ আর আপনাকে ই-পাসপোর্ট করে দিবে না। ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে সেটা আমরা আপনাদেরকে দেখাবো
৫ বছর মেয়াদি ২১ দিনের নিয়মিত সরবরাহ ৪ হাজার ২৫ টাকা, ১০ দিনের দ্রুত সরবরাহ ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, ২ দিনে সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। ৪৮ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদি ২১ দিন ডেলিভারি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, ১০ দিনের ডেলিভারি ৮ হাজার ৫০ টাকা ও ২ দিনের ডেলিভারি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠা ৫ বছর মেয়াদি ২১ দিনের ডেলিভারি ৬ হাজার ৩২৫, ১০ দিনের ডেলিভারি ৮ হাজার ৬২৫, ২ দিনের ডেলিভারি ১২ হাজার ৭৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদি ২১ দিনের ডেলিভারি ৮ হাজার ৫০, ১০ দিনের ডেলিভারি ১০ হাজার ৩৫০, ২ দিনের ডেলিভারি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।
ই-পাসপোর্ট এর সুবিধা
ই পাসপোর্ট এর অনেক সুবিধা রয়েছে। বর্তমান সময়ে বা আধুনিক যুগে ই পাসপোর্ট এর চাহিদা অনেক বেশি এটি খুব দ্রুত এবং খুব সহজেই এটি করা হয়ে থাকে ই-পাসপোর্টের অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে এজন্য মানুষ এখন সবাই পাসপোর্ট এর দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছেন। ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কোনো গরমিল থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে সেটিও সাথে সাথে জানা যাবে